চোখ উঠলে কি করবেন ও কি পরিহার করবেন

চোখ উঠে কেন,চোখ উঠলে কি করবেন,চোখ উঠলে করনীয়,চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে,চোখ উঠলে ড্রপ,চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হয়,চোখ উঠলে কতদিন থাকে,চোখ উঠলে ঔষধ,চোখ উঠলে কোন ঔষধ খেতে হয়,চোখ উঠলে কি কি করনীয়,চোখ উঠলে কি করতে হয়,চোখের ড্রপ,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না,চোখ উঠলে দোয়া,চোখ উঠলে কোন দোয়া পড়তে হয়,শিশুদের চোখ উঠলে করনীয়,চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, conjunctivitis,

চোখ উঠলে কি করতে হয়

টাইমস বাংলা নিউজ ২৪.কম স্বাস্থ্য ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে আবহাওয়া বদলাচ্ছে। আর সারা দেশব্যপী চোখ ওঠার ধুম পড়েছে। যদিও চোখ ওঠা কোন প্রকার মারাত্নক রোগ নয় তবুও মানুষের মাঝে এ রোগ নিয়ে অনেক আতঙ্ক উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আজকে আমরা আপনাদের সাথে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেগুলো হলো-

১.চোখ উঠে কেন।

২.চোখ ওঠার লক্ষণ

৩.চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে।

৪.চোখ উঠলে করনীয়।

৫.চোখ উঠলে কতদিন থাকে।

৬.চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হয়।

৭.চোখ উঠলে কোন ঔষধ খেতে হয়।

৮.চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে।

৯.চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না।

১০.শিশুদের চোখ উঠলে করনীয়। এবং আমরা আরো আলোচনা করবো

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আমরা চোখ উঠা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আশি।

চোখ উঠে কেন,চোখ উঠলে কি করবেন,চোখ উঠলে করনীয়,চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে,চোখ উঠলে ড্রপ,চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হয়,চোখ উঠলে কতদিন থাকে,চোখ উঠলে ঔষধ,চোখ উঠলে কোন ঔষধ খেতে হয়,চোখ উঠলে কি কি করনীয়,চোখ উঠলে কি করতে হয়,চোখের ড্রপ,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না,চোখ উঠলে দোয়া,চোখ উঠলে কোন দোয়া পড়তে হয়,শিশুদের চোখ উঠলে করনীয়,চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, conjunctivitis,

১। কেন চোখ ওঠে:-চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়,কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসের কারনে চোখ ওঠে। এছাড়া অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ।

২। চোখ ওঠার লক্ষণ:-ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা,সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি,চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা,আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা,সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা,চোখ দিয়ে পানি পড়া,চোখের কোনায় ময়লা (যা পিচুটি বা কেতুর নামেও প্রচলিত) জমা,চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

৩। চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে:-চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ। চোখ ওঠাকে কনজাংটিভাইটিস বা রেড/পিংক আই বলে। কনজাংটিভা নামে চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা রোগ বলা হয়। চোখ ওঠার মূল কারণ হলো ভাইরাসজনিত এবং এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে।

৪। চোখ উঠলে করনীয়:-আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি,ধুলাবালি,দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে,সেদিকে খেয়াল রাখা। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা। দুই হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধৌত করা। আক্রান্ত চোখ পরিস্কার করার জন্য নরম সুতি কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করা। আক্রান্ত চোখ নিয়ে বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে ও ময়লা থেকে চোখকে রক্ষা করবে।

৫। চোখ উঠলে কতদিন থাকে:-চোখ উঠলে সাধারণত দুই তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন থাকতে পারে। এছাড়াও অনেকের আবার পাঁচ থেকে সাত দিনও লেগে যায়।

৬। চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হয়:-কোন কোন ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ উঠে কেন,চোখ উঠলে কি করবেন,চোখ উঠলে করনীয়,চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে,চোখ উঠলে ড্রপ,চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হয়,চোখ উঠলে কতদিন থাকে,চোখ উঠলে ঔষধ,চোখ উঠলে কোন ঔষধ খেতে হয়,চোখ উঠলে কি কি করনীয়,চোখ উঠলে কি করতে হয়,চোখের ড্রপ,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না,চোখ উঠলে দোয়া,চোখ উঠলে কোন দোয়া পড়তে হয়,শিশুদের চোখ উঠলে করনীয়,চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, conjunctivitis,

৭। চোখ উঠলে কোন ঔষধ খেতে হয়:-যে কোন রোগের ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়া উচিৎ। তবে প্রাথমিকভাবে চোখ ব্যথা হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ যেমন নাপা বা এইচ খেতে পারেন। আর চোখ চুলকালে ইট্রিজিন জাতীয় ঔষধ যেমন এ্যালাট্রল, ইটিজিন,ইত্যাদি খেতে পারেন।

৮। চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে:- চোখ উঠলে আপনি প্রায় সব ধরনের খাবারই খেতে পারবেন। বিশেষ করে বিট লবণ,ত্রিফলা,আমলকী,কিশমিশ,মধু ও ঘি এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৯। চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না:- অখাজ খাবার অর্থাৎ ইলিশ মাছ,চিংড়ি মাছ, বেগুন, সিম ইত্যাদি।

১০। শিশুদের চোখ উঠলে করনীয়:- আর যদি আপনার শিশুর চোখ উঠে থাকে সে ক্ষেত্রেও হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতাগুলো খোলা রাখতে হবে। বড় বাচ্চারা চোখে কালো চশমা পরতে পারে।

১১। চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা:-

(ক) তাওয়া বা চাটু গরম করে পরিষ্কার, শুকনো কাপড়ে সেই তাপ নিন। এ বার সেই কাপড় দিন চোখে। দিনে বার কয়েক এমন দিলে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া মরে যাবে। গ্রন্থির তেলও শুকিয়ে গিয়ে আরাম পাবেন।

(খ) পেয়ারা পাতার রয়েছে জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা। প্রাকৃতিক ওষধি ক্ষমতাযুক্ত এই পাতাকে শুকনো তাওয়ায় নেড়ে তা একটি নরম কাপড়ে জড়িয়ে ধরে থাকুন চোখের উপর। দিনে বার তিনেক এমন করলে আরাম তো মিলবেই। ফের আঞ্জনি হওয়া থেকেও দূরে রাখবে এটি।

(গ) উচ্চ মাত্রায় অপকারী ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করে এমন তেল ব্যবহার করা যায়। যেমন ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে অতি সহজে চোখের আঞ্জনি দূর করা সম্ভব। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে প্রদাহ দূর করার ক্ষমতা।আক্রান্ত চোখে প্রথমে গরম ভাপ নিন ১০ মিনিট। তার পর একটি কটন তুলোর বলে ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে আলতো করে ধরে থাকুন চোখের পাতায়। ব্যথা মরবে।

১২। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে:-দৃষ্টি ঝাপসা হলে,চোখ খুব বেশি লাল হলে,খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।