তিন কুল পাঠের ফজিলত
টাইমস বাংলা নিউজ ২৪.কম ইসলামিক ডেস্ক:-ইসলাম এমন একটি জীবন বিধান যাতে রয়েছে জীবন সমস্যার সকল সমাধান। তাই আসুন আজকে আমরা এমন একটি বিষয়ে জেনে আশি যা আমাদের জীবনে সবারেই দরকা।
তিন কুল পরিচিতিঃ
তিন কুল কি? তিন কুল হলো যে সূরার
শুরুতে, কুল শব্দটি আছে এমন এমন তিনটি সূরাকে তিন কুল বলে। যেমন- সূরা ইখলাস,সূরা নাস এবং,সূরা ফালাক।
তিন কুল পাঠ করলে কি হয়?
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় তিন কুল পাঠ করবে সে সকল প্রকার বিপদ – আপদ হতে নিরাপদে থাকবে।(তিরমিযী)
শয়তানের অনিষ্ট ও মানুষের জাদুটোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকাল ও সন্ধ্যায় তিন কুল পাঠ করা খুব কার্যকর।
মহানবী (সাঃ) কেন তিন কুল পাঠ করতেনঃ
তিন কুল পাঠ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ৮ টি বিশেষ নিয়ামত দান করবেন। সেগুলো হলো :
১। জান্নাত।
২। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি।
৩। গুনাহ থেকে মুক্তি।
৪। দারিদ্রতা থেকে মুক্তি।
৫। বালা – মুছিবত হতে মুক্তি।
৬। জাদুটোনা থেকে মুক্তি।
৭। শয়তানের আক্রমণ হতে মুক্তি।
৮। যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্তি।
আর এ সব ফজিলতের কারনেই মহানবী (সাঃ) তিন কুল পাঠ করতেন।
তিন কুল পাঠের ফজিলতঃ
১। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় তিন কুল পাঠ করবে সে সকল প্রকার বিপদ – আপদ হতে নিরাপদে থাকবে।
২। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন,তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস,সুরা ফালাক,সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন।
তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতে।’ (বুখারি)
৩। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ শেষে তিন কুল পাঠ করতে বলেছেন। ফজর ও মাগরিব নামাজ পরে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক,সূরা নাস তিন বার করে পাঠ করা সুন্নত। অন্য তিন ওয়াক্ত নামাজে একবার করে পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। (আবু দাউদ)
৪। শরীরে অসুস্থতা অনুভব করলে তিন কুল পাঠ করে শরীরে ফুঁক দিতে হবে। হজরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত ,তিনি বলেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অসুস্থ হতেন, তখন তিন কুল পড়ে (হাতে) ফুঁ দিতেন এবং (নিজের শরীরে) হাত বুলাতেন। যখন তিনি অন্তিম শয্যায় শায়িত ছিলেন, তখন আমি তিন কুল পড়ে ফুঁ দিতাম এবং তার হাতে হাত বুলাতাম। (সহীহ বুখারী)
৫। সাহল ইবনে সাদ শায়েরি (রা) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,এক ব্যক্তি হজরত মুহাম্মদ (সা) এর নিকট দারিদ্রতার অভিযোগ করল। মহানবী (সা) বললেন যখন তুমি ঘরে যাবে তখন সালাম দেবে এবং সূরা ইখলাস এক বার পাঠ করবে। এ আমল করার কিছু দিনের মধ্যে তার দারিদ্রতা দূর হয়ে যায়। (বুখারী)