নায়িকা সাই পল্লবীর গল্প
টাইমস বাংলা নিউজ২৪.কম বিনোদন ডেস্ক: সাই পল্লবী সেন্থামারাই নাম শুনলেই হাসি মুখটা চোখে পড়ে। সাদা মাটা একটি মেয়ে যে কোন প্রকার মেকাপ ছাড়াই হাজির হন ক্যামেরার সামনে। তিনিই হলেন চিকিৎসক নায়িকা সাই পল্লবী সেন্থামারাই। তিনি সবার কাছে পরিচিত সাই পল্লবী নামেই।
সাই পল্লবী একজন ভারতীয় অভিনেত্রী,যিনি সর্বসাধারণেরকাছে সাঁই পল্লবী নামেই বেশি পরিচিত ৷ তিনি মুলতঃ মলয়ালম, তামিল, এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ৷
সাই পল্লবীর জন্ম তারিখ:-
০৯ মে ১৯৯২ সালে তামিলনাড়ুর নীলগিরির কোটাগিরিতে জন্ম সাই পল্লবীর। নাচ ছিল তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রে।
সাই পল্লবীর পেশা:-
সাই পল্লবী পেশায় স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে আছেন এবং অভিনয় শিল্পি ৷ ২০১৬ সালে তিনি তিবিলিসি স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া থেকে তার মেডিকেল ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন ৷
গত বছর লকডাউনের সময়ে ফরেন মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট এক্সামিনেশনে অংশগ্রহণ করেন সাই। প্রিয় নায়িকাকে সহপাঠী হিসেবে পেয়ে সেলফি তোলার লোভ সামলাতে পারেননি অনেক শিক্ষার্থী। সে ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী।
সাই পল্লবীর ব্যক্তিগত জীবন:-
সাই পল্লবী জন্মগ্রহণ করেন কোটাগিরি তে এবং বড় হয়েছেন কোয়েম্বাটুর এ। তিনি তার চিকিৎসা বিষয়ক পড়াশোনা তিবিলিসি স্টেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে সম্পন্ন করেন।
সাই পল্লবীর সিনেমা:-
সাই পল্লবীর সিনেমা গুলো হলো:- প্রেমাম,কালি,ফিদা,দিয়া,মারি২,এমসিএ ইত্যাদি।
সাই পল্লবী হিসেবে পরিচিতি:-
সাই পল্লবী সকলের নজরে আসেন ২০১৫ সালে তার অভিনিত মুক্তিপ্রাপ্ত মালায়ালাম চলচ্চিত্র "প্রেমাম" এর মাধ্যমে, সেখানে তিনি মালার চরিত্রে অভিনয় করেন ৷ মুভিটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং ব্লকবাস্টার সিনেমার তকমা লাভ করে।
পরবর্তীতে তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা দুলকার সালমান - এর সাথে "কালি" নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন,যেটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে৷ এরপর ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রোমান্টিক চলচ্চিত্র ফিদা এর মাধ্যমে তিনি তেলুগু সিনেমায় প্রবেশ করেন ৷ সিনেমাটিতে তিনি ভানুমতি চরিত্রে অভিনয় করেন এবং বরুণ তেজ ছিলেন তার সহ-অভিনেতা ৷ এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
দক্ষিণ ভারতের নায়িকাদের মধ্যে সাই পল্লবী হলেন ন্যাচারাল স্টার। আর এই গুণি অভিনেত্রী গেল বছর ২ কোটি টাকা মূল্যের একটি বিজ্ঞাপন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার কারন ছিল তিনি মনে করেন,সৃষ্টিকর্তার দেওয়া রূপই আসল। কোন প্রকার ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে ন্যাচারালিটি না হারানোই উত্তম।